প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে। এ কথা উল্লেখ করে নথি পাচার রোধে নজরদারি আরও বাড়াতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে তথ্য পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের কাছে পাঠানো সরকারি গোয়েন্দা তথ্য যেন ফাঁস না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব সচিবকে চিঠি দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জানা গেছে, সচিবালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রায়ই ফাঁস হচ্ছে। এ কারণে অনেক সময় সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। সরকারের গোপনীয় ও অতি গোপনীয় অনেক নথিই চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি বা মহলের কাছে। এতে করে সরকারের শীর্ষ মহলের কাছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তরের প্রধানেরা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য, সরকারি দরপত্রের দরদাম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সব সচিবকে চিঠি দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে ‘ক্ল্যাসিফায়েড’ তথ্য পাচার হচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করাসহ এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সচিব জানান, এমনিতেও এ বিষয়ে ১৯২৩ সালের ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আছে। আইনের ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড অথবা ১৪ বছরের জেল রয়েছে। এটি সরকারি অফিসগুলোতে কড়াকড়িভাবেই পালন করা হয়।