সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চোখ ওঠার কারণে অনেকের চোখ লাল হয়ে পানি পড়তে দেখা গেছে। আবার কারো কারো চোখের পাতা ফুলে চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। অনেকেই আবার চোখের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে পড়ছেন। চোখ ওঠার কারণে অনেক নারী-পুরুষকে চোখে কালো চশমা পরতে দেখা গেছে।
রোগীরা বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসীতে গিয়ে চোখ ওঠার ওষুধ পাচ্ছেন না। বাজারের ফার্মেসীগুলোতে চোখ ওঠা রোগের ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের টুম্পা প্রমি ফার্মেসীর মালিক মো. হারুন অর রশিদ হারুন জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে চোখের রোগী প্রচুর পরিমাণে আসছে। ওষুধ কোম্পানীগুলো সাধারণত চোখের রোগের ওষুধ কম উৎপাদন করে থাকে। কারণ ওই জাতীয় ওষুধ কম চলে, অনেক সময় দেখা যায় ফার্মেসীতে থাকতে থাকতে মেয়াদ চলে যায়। আর সারা বাংলাদেশে একযোগে রোগটি দেখা দেয়ার কারণে ফার্মেসীর মালিকরা এক সঙ্গে অর্ডার করতে শুরু করায় সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. মহি উদ্দিন বিপ্লব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চোখ ওঠা একটি কনজান্কটিভাইটিস ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগ হলে প্রথম কাজ হলো চোখে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে। তারপরও যদি কাজ না হয়,তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে শিশু থেকে বৃ্দ্ধরা পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন অনেক রোগী আসছেন আমাদের হাসপাতালে। তিনি আরো বলেন, আমাদের হাসপাতালে আর বেশি চোখের ড্রপ নেই। যা আছে মনে হয় কয়েক দিন চলতে পারে।