তিন দফা আবেদনের সুযোগেও চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থীর কপালে জুটেনি কলেজ। একইভাবে অন্তত ২ টি কলেজের ভাগ্যেও জুটেনি কোন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে একটি কলেজকে পাঠদান বন্ধ রাখতে বলেছে শিক্ষাবোর্ড। এ পরিস্থিতিতে ভর্তির শেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আগামী রোববার থেকে সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষাবোর্ডের কলেজ শাখার তথ্য মতে, চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এবার ২৮২টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন রয়েছে। অনুমোদিত এসব কলেজে সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৯টি। বিপরীতে বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এবার আবেদন করেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ১৫১ জন। সে হিসেবে একাদশে ভর্তিতে আসন সংকট থাকছে না। বরং ৫১ হাজার ৯৮৮টি আসন শূন্য থাকবে। কিন্তু তিন ধাপে কলেজ নিশ্চায়নের সুযোগের পরও দেখা যাচ্ছে এখনো আবেদনকারী অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি এবং এসএসসি উত্তীর্ণ অনেকে শিক্ষার্থী ভর্তির অবেদনই করেনি।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো জাহেদুল হক দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, মফস্বলের অনেক কলেজে এখনো বেশ আসন খালি আছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম কলেজে ৬টি, হাজী মহসিন কলেজে তিনটি, সরকারি সিটি কলেজে ৪টি এভাবে চট্টগ্রাম শহরের নামী কলেজগুলোতেও কিছু আসন খালি আছে। সুতরাং শেষ ধাপে মেধা ও পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুন : কলেজে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদন শুরু রোববার
কলেজ পরিদর্শক জানান, হালিশহর সেন্ট্রাল কলেজ, বৌদ্ধঘর কলেজসহ কয়েকটি কলেজে এখনো কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। হালিশহর সেন্ট্রাল কলেজকে পাঠদান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় আরো কয়েকটি কলেজ পড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য চট্টগ্রামের ১ লাখ ২৩ হাজার ১৫১ শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে। এর মধ্য থেকে কলেজ ভর্তির জন্য প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ জন। হিসেবে আরো ৮ হাজার ৭০১ শিক্ষার্থী আবেদন করেও প্রথম তালিকায় কলেজ পায়নি। এর মাঝে জিপিএ-৫ পাওয়া ৫০১ শিক্ষার্থীও ছিলো। পরে তারা আরো দুই দফা আবেদনের সুযোগ পেয়েছিলেন। তিন দফা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে দেখা যায় চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। যাদের কিছু কলেজ পেয়েও ভর্তি হয়নি বাকিরা পছন্দের কলেজই পায়নি।
শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টদের মতে, মূলত অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে এ সমস্যা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা আবেদনের সময় ১০টি কলেজ পছন্দ দেয়ার সুযোগ পেলেও অনেকে সবগুলো পছন্দ দেননি। ফলে নির্দিষ্ট কলেজে বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের আবেদন ওপরে থাকায় এই বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে।