টিকটকে লাইভ (সরাসরি) ভিডিও করছিলেন স্বামী-স্ত্রী। একপর্যায়ে স্ত্রীর গালে চড় মেরে বসেন ওই ব্যক্তি। আর এতেই কপাল পোড়ে তাঁর। পড়েন আইনি গ্যাঁড়াকলে। অবশেষে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। নারীর প্রতি সহিংসতার দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ওই ব্যক্তির। যদিও তাঁর স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে রাজি ছিলেন না; কিন্তু দেশের আইন মেনে কারাবাস এড়াতে পারেননি তিনি।
ঘটনাটি ইউরোপের দেশ স্পেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সোরিয়াতে। গত ২৮ জানুয়ারি সকালে টিকটকে লাইভে আসেন ওই দম্পতি। অংশ নেন একটি লাইভ বা সরাসরি ‘ব্যাটেলে’, যেখানে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে তাঁর স্বামী ছাড়াও আরও দুই পুরুষ ছিলেন। তাঁরা মারামারি করবেন, আর তা সরাসরি টিকটকে দেখানো হবে—এমনটাই ছিল নিয়ম। পরে দর্শকদের ভোটে একজন বিজয়ী নির্বাচিত হবেন।
সরাসরি ভিডিওর একপর্যায়ে স্ত্রীর গালে কষিয়ে চড় মারতে দেখা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। এতে কেঁদে ফেলেন ওই নারী। পরে এ ভিডিও ভাইরাল হয়। ছড়িয়ে পড়ে আলোচনা-সমালোচনা। যদিও ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ আনতে নারাজ ছিলেন; কিন্তু আইনি ঝামেলা এড়াতে পারেননি ওই ব্যক্তি। পুলিশের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার স্পেনের একটি আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রকাশ্যে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ করেছেন। এ জন্য তাঁকে এক বছরের জন্য জেলের ঘানি টানতে হবে। এ ছাড়া তিনি আগামী তিন বছর তাঁর স্ত্রীর ৩০০ মিটারের (১ হাজার ফুট) মধ্যে যেতে পারবেন না। স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে পুরোটা সময়। এ সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করতে পারবেন না কোনো অস্ত্র।
স্পেনে লিঙ্গভিত্তিক যেকোনো সহিংসতার ঘটনায় কঠোর শাস্তি পেতে হয়। দেশটিতে এ–বিষয়ক আইন বেশ কড়া। রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেছেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনায় ভুক্তভোগী অভিযোগ জানালেন কি, এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ঘটনা প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি পেতে হবে। তিনি (অভিযুক্ত ব্যক্তি) প্রকাশ্যে তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেছেন। তাই তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।