অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জটিলতা নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ছয় মাস পর এটি কার্যকর হবে। এ ছাড়া যারা গণহারে ফেল করেছে তারা নিজ কলেজে এ নিয়ে আবেদন করতে পারবে।’
সেশনজট দূর করা, ত্রুটিপূর্ণ ফলাফলের পুনঃমূল্যায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে সোমবার (৭ জুলাই) স্মারকলিপি দিয়েছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় দ্রুত দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, ‘সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া প্রশ্ন প্রণয়ন সাত কলেজের শিক্ষকরাই করবেন। তাদের সার্টিফিকেটেও কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কলেজগুলোর জন্য অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারও তৈরি করা হয়েছে।’ এ সময় শিগগিরই অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া দাবি মানার আশ্বাসে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে সাত কলেজের আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক আবু বকর বলেন, উপাচার্যের কথা মেনে কলেজের ফোকাল পয়েন্টে যোগাযোগ করবে ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আবার অন্দোলনে নামবেন তারা।
এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি নীলক্ষেত এলাকায় মুক্তি ও গণতন্ত্র চত্বরে অবস্থান করে। পরে সেখান থেকে তাদের প্রতিনিধি দল ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করতে যান শিক্ষার্থীরা।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ। সেশনজট দূরসহ বেশ কিছু দাবিতে এরপর থেকেই কয়েক দফা আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।