তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামনের ফুজি গলিতে (জবি) এক নারী শিক্ষার্থীসহ দুইজন ও তিন ছাত্রলীগ কর্মীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন দুই পক্ষ। এদিকে দুপক্ষের অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজন সহকারী প্রক্টরকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে অতি দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত সোমবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী উম্মে তহমিনা জেরিফ মিশু এবং ছোলায়মান খান গত বুধবার এবং তিন ছাত্রলীগ কর্মী শুভ সাহা, শরিফুল ইসলাম হিমু ও এ ইউ ফাহিম গতকাল বৃহস্পতিবার প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন।
উম্মে তহমিনা জেরিফ মিশু এবং ছোলায়মান খানের পৃথক দুই অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় টিএসসির পেছনে ছোলায়মান আর তার বন্ধু মিশু চা শেষ করে কাপ দিতে যায়। তখন সেখানে বসার টুল না থাকায় এটা নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাদেকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে রাগান্বিত হয়ে কথা বলতে শুরু করে। তখন মিশু বুঝাতে গেলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ছোলায়মান থামাতে গেলে সাদেক তেড়ে আসে। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২ ব্যাচের হিমু ও শুভসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন। তারা আগের কোনো ঘটনা না জেনেই তাদের উপর চড়াও হয় ও বাকবিতণ্ডা শুরু করে। তারা এক পর্যায়ে মিশুকে হুমকি দেন। পরবর্তীতে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। এতে ছোলায়মান মাথায়, হাতে এবং ঘাড়ে আঘাত পায়। ঘটনাস্থলে তার জুতা ছিঁড়ে যায় এবং চশমা পড়ে ভেঙে যায়।
এদিকে একই ঘটনায় পালটা অভিযোগপত্র দিয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শুভ কুমার সাহা, শরিফুল ইসলাম হিমু এবং লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এ ইউ ফাহিম। অভিযোগপত্রে তারা দাবি করেন, গত ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ফটোকপির গলিতে ফটোকপি করে শুভ কুমার সাহা, শরিফুল ইসলাম হিমু ও এ ইউ ফাহিম বের হয়ে আসছিলেন। এসময় আচমকা প্রচুর হট্টগোলের শব্দ শুনে তারা এগিয়ে যায় এবং হট্টগোলের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে চারুকলা বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী উম্মে তহমিনা জেরীফ মিশু এবং একই ব্যাচের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ছোলায়মান খান আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং একপর্যায়ে গরম চাসহ কাপ শরীরে ছুঁড়ে মারে। এসময় ছোলায়মানের উসকানিতে মিশু হিমুর কলার ধরে এবং লাথি মারে। গরম চায়ের কাপ শুভ সাহার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে লাগে এবং কাপটি ভেঙে যায়।