তুরস্কে ভূমিকম্প : ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত ঘোড়া উদ্ধার

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

তুরস্কে ভূমিকম্পের ২১ দিন পর একটি ঘোড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের তিন সপ্তাহ পর গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির আদিয়ামান প্রদেশের একটি বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘোড়াটিকে বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। বুধবার (১ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে ইয়াহু নিউজ।

উদ্ধার অভিযানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রাণীটির উদ্ধারে একযোগে কাজ করছে একটি উদ্ধারকারী দল। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর অবশেষে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিরাপদে ঘোড়াটিকে বের করে আনতে সক্ষম হন উদ্ধারকর্মীরা।

  

গত সোমবার ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেন এক তুর্কি ব্যবসায় উদ্যোক্তা। ক্যাপশনে তিনি এটাকে ‘বিষ্ময়কর’ বলে অভিহিত করেন। শেয়ার করার পরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৩১ লাখ ভিউ হয়েছে। কমেন্ট পড়েছে হাজার হাজার। ভূমিকম্পের তিন সপ্তাহ পর ঘোড়া জীবিত উদ্ধার হওয়ার এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলে অভিহিত করেছেন অনেকেই।

গত মাসের শুরুর দিকে (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৮ ও ৭.৬। স্মরণকালের ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে হাজার হাজার ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলার পর গত সপ্তাহে উদ্ধার অভিযান শেষ হয়ে গেছে। এরপর এক্সক্যাভেটর দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়। এতে মৃতদেহ বেরিয়ে আসছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। 

ভূমিকম্পে তুরস্কে মোট দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৮৮ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্প তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর ভূমিকম্প হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

ওই ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই চলতি সপ্তাহে আবারও কেঁপে ওঠে তুরস্ক। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৬।

এতে অন্তত একজন মারা গেছে। ৬৯ জন আহত হয়েছে। এই ভূমিকম্পেও বেশ কিছু বাড়ি ভেঙেছে। অনেকে এখনও চাপা পড়ে আছেন। উদ্ধারকাজ চলছে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027840137481689