অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পরেও অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি বলে তার ছেলে জানিয়েছেন।
এই জাতীয় অধ্যাপককে সোমবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার ছেলে আনন্দ জামান মঙ্গলবার বিকালে বলেন, “আব্বার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও সেটা খুব উল্লেখযোগ্য বলা যাবে না। নতুন কিছু উপসর্গও দেখা দিয়েছে তার।”
৮৩ বছর বয়সী অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসে জটিলতা, পারকিনসন্স ডিজিজ এবং প্রোস্টেটের সমস্যার পাশাপাশি রক্তে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানঅধ্যাপক আনিসুজ্জামানআনন্দ জামান বলেন, “বাবার সমস্যা মূলত হার্টের। বার্ধক্যজনিতকারণে প্রোস্টেট আর হজমেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
“চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে আগামী চার-পাঁচ দিন সিসিইউতে থাকতে হবে, যতদিন না অবস্থার উন্নতি হয়। উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখলে চিকিৎসকরা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন।”
এর আগে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আনিসুজ্জামান। চিকিৎসা করিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে গিয়েও।
খ্যাতিমান বাংলার অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে। ভারত ভাগের পর তারা এপারে চলে আসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন আনিসুজ্জামান। এই ভূখণ্ডে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তার।