থাইল্যান্ডে সরকার পতন ও রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্বের দাবিতে চলা কয়েক মাসের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ব্যাংককের স্কুল শিক্ষার্থীরা।
শনিবার তাদের এ বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষও অংশ নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সব ধরনের আইনকে কাজে লাগাতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার পর স্কুল শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভই ছিল সরকারবিরোধী সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি।
‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’ আয়োজিত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে পুলিশ। আগের এক প্রতিবাদ কর্মসূচি সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার গ্রুপটির দুই কিশোর নেতাকে তলব করা হয় বলেও জানিয়েছে তারা।
“আমরা এখানে এসেছি মুক্তি চাইতে, যা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা শিক্ষ সংস্কারেরও দাবি জানাচ্ছি,” বলেছেন হাই স্কুলের ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মামিয়াও।
থাইল্যান্ডে চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া বড় বড় বিক্ষোভগুলোতে প্রাধান্য পাওয়া তিনটি দাবি হচ্ছে- প্রায়ুথকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া, নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের রাজত্বের ক্ষমতা খর্ব।
শনিবার স্কুল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে এগুলোর পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় অধিকতর স্বাধীনতা ও ন্যায্য আচরণও চাওয়া হয়েছে। অনেকে আবার লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দিতে বলেছেন।
“আমি শিক্ষকদের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছি। স্কুল এখানে নিরাপদ জায়গা নয়,” ইউনিফর্ম পরিহিত এক শিক্ষার্থীর হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে এমনটাই লেখা ছিল। শিক্ষা ব্যবস্থার নাজুক দশার প্রতিবাদস্বরূপ ওই শিক্ষার্থী তার মুখ টেপ দিয়েূ বেঁধেও রেখেছিলেন।
শনিবার ‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’ যেসব হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছে তার একটি ছিল ‘বাই বাই ডাইনোসরস’।
থাই সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা আইনের ভেতর থেকে গঠনমূলকভাবে তাদের স্বাধীনতার চর্চা করবেন বলে আশা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার।
জুলাই থেকে শুরু হওয়া সরকার ও রাজতন্ত্রবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে রাজপ্রাসাদ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।