দপ্তরি নিয়োগে টাকার খেলা!

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি |

বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগে টাকার খেলা শুরু হয়েছে। নিয়োগ কমিটির সদস্যদের কথিত আশীর্বাদের জোরে দালালরা মাঠে তত্পর হয়ে উঠেছে। প্রার্থী প্রতি দর উঠেছে আট লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা। অনেকের টাকাও জমা হয়ে গেছে।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টাংগারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাষিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাট্টাজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলদহপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গেদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দত্তেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দ্রাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠান্ডারবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলকীহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেরুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেষেরচর, ডিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিকরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিনোদেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাজিমারা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে দপ্তরি কাম নৈশ্যপ্রহরী পদে লোক নিয়োগের জন্য স্থানীয়ভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ১২ জুন শেষ তারিখ পর্যন্ত ১৯ পদে মোট ১৬৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন।

সরকারি নিয়মানুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি, এমপির প্রতিনিধি-১ জন, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি-১ জন, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সভাপতিকে সদস্য এবং শিক্ষা অফিসারকে সদস্য সচিব করে নিয়োগ কমিটি করা হয়।

সরেজমিনে জানা গেছে, প্রতি স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশ্যপ্রহরী পদের জন্য আট লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার ডাক উঠেছে। দালালদের কাছে এর নিলাম প্রক্রিয়া ওপেন সিক্রেট। একই পদে একাধিক প্রার্থীর কাছে টাকা নেওয়া হয়েছে। তাতে যে প্রক্রিয়াতেই নিয়োগ দেওয়া হউক টাকার খেলা চলবেই।

ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, আমার নিজ এলাকার কয়েকটি স্কুলে ১০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

নিয়োগ কমিটির সভাপতি বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান সিদ্দিকি জানান, সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে। দালালদের কার্যক্রমে নিয়োগ কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না।
 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045540332794189