দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বর্তমানে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলারে পুরুষ ও মহিলার যোগ্যতা স্নাতক (২য় বিভাগ) নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রথমবারের মতো একটি গ্র্যাজুয়েট ব্যাচ নিয়োগ পেতে যাচ্ছে। যদিও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তরে শিক্ষকদের বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির মর্যাদায় ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে আমরা দেখি, হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড ১০ম; পুলিশের উপপরিদর্শকের নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান, বেতন গ্রেড ১০ম; হাসপাতালের নার্সদের নিয়োগের যোগ্যতা বিএসসি ইন নার্সিং, বেতন গ্রেড ১০ম; উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগের যোগ্যতা ৪ বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমা, বেতন গ্রেড ১০ম; ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক, বেতন গ্রেড ১০ম। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়, কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য যোগ্যতা স্নাতক সমমান (২য় বিভাগ) হওয়ার পরও সহকারী শিক্ষকদের বর্তমানে ১৩তম গ্রেডের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে, যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড নিছক কোনো দাবি নয়; ন্যায্য অধিকার। একজন মাস্টার্স, বিএড, ডিপিএড ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির চাকরিজীবী হিসেবে গণ্য হবেন, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

রাষ্ট্রকে শিক্ষকদের কল্যাণে ১০ম গ্রেড দিয়ে ন্যায্য দাবি পূরণ করতে হবে। শিক্ষকতা শুধু পেশা নয়; একজন শিক্ষককে দীর্ঘদিনের চর্চার মাধ্যমে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে শ্রেণি পাঠদান করতে হয়। একজন দায়িত্বশীল শিক্ষকই শিক্ষার্থী, সমাজ ও দেশকে পরিবর্তন করতে পারেন। শিক্ষক তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞা দিয়ে বদলে দিতে পারেন বিদ্যালয়ের সবকিছু। শিক্ষক সমাজের গুরু, পথনির্দেশক, আলোকিত ব্যক্তি। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি করতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি যৌক্তিকভাবে পূরণ করতে হবে। ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হলে সহকারী শিক্ষকদের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে; শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

লেখক : গাজী আরিফ মান্নান, ফেনী। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038859844207764