দশম শ্রেণিতেই তিশাকে টার্গেট করেন মুশতাক

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আমার মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করে কাবিননামায় সই নিয়েছে মুশতাক আহমেদ। এমনটাই দাবি করেছেন সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম।

বুধবার একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে জিম্মি করে কাবিননামায় সই দিতে বলে মুশতাক। কিন্তু আমার মেয়ে সই দিবে না, তখন বলে যে তোমার ছবি ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিব। আমি গভর্নিং বোর্ডির সদস্য; প্রিন্সিপাল আমার ক্লোজ, এটা তো জানোই। বাধ্য হয়ে তিশা সই করে। এটাকে আমি বিয়ে বলবো না।

মাত্র দশম শ্রেণিতেই পড়াকালীনই তিশাকে কার্যত টার্গেট করেন খন্দকার মুশতাক। এরপর নিজের মেয়ের মাধ্যমে তিশাকে কবজায় আনার প্রস্তুতি নেন। সেই অনুযায়ী একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। এমনই ভাষ্য তিশার বাবা সাইফুল ইসলামের।  

ঘটনার শুরু থেকে বলতে গিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে যখন আইডিয়াল গর্নমেন্ট স্কুলে পড়ে, দশম শ্রেণির ছাত্রী তখন মুশতাক ফাঁদ পাতে। আমার মেয়ে অত্যন্ত ট্যালেন্টেড মেয়ে। সে পিএসসিতে, জেএসসিতে জিপিএ ফাইভ, এসসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। দেখেন শোকেস ভর্তি তার পুরস্কার। আমার মেয়েকে যখন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দেখে, তখন তার নজরে পড়ে। তখন থেকেই সে ফন্দি আঁটতে শুরু করে। কিভাবে আয়ত্তে নেওয়া যায়।

তিনি বলেন, আমার মেয়েকে সে কবজায় নেওয়ার জন্য তার মেয়ে তনিমাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছে। বড়শিতে যেভাবে গাঁথার জন্য টোপ ব্যবহার করে। তখন তনিমা আমার মেয়ে তিশার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। এভাবেই তিশাকে মুশতাক কবজায় নেয়। তখন সে সমানে টাকা খরচ করা শুরু করে। তার মেয়ের বান্ধবী সে দিতেই পারে। এভাবেই সে আমার মেয়েকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে।

মুশতাক আহমেদ ১০-১২ জন ছেলেকে দিয়ে তিশার অশ্লীল ছবি তোলায় এবং সেসব দিয়েই ব্ল্যাকমেইল করে। এমন দাবি সাইফুল ইসলামের। তিনি বলেন, এরমধ্যে মুশতাক একজন ছেলেকে ভাড়া করে। সেই ছেলেকে ভাড়া করে আমার মেয়ের বয়ফ্রেন্ড বানায় দেয়। সেই ছেলেও তনিমার মাধ্যমে আসে। দেখা যায় সেই ছেলে বসে আছে, আমার মেয়েও বসে আছে। তনিমা ছবি তোলে। এভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে করতে ১০-১২ জনের সঙ্গে তারা অশ্লীল ছবি তোলে। আমার মেয়ে স্বীকার করেছে এটা। 

শুভ্রদেবকে পদক ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ প্রিন্স মাহমুদেরশুভ্রদেবকে পদক ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ প্রিন্স মাহমুদের
 তিনি বলেন, ছবি তোলার পরে আমার মেয়েকে বলে এগুলো যদি ফেসবুক ইন্টারনেটে ছেড়ে দেই তাহলে কী হবে? তবে তুমি চিন্তা করিও না। তুমি আমার মেয়ের বান্ধবী শুধু, তোমার ক্ষতি করবো না। আমার কথামতো চললেই হবে। তোমার বাপ-মাকে কিছু বলো তাহলে এসব সব ফেসবুকে ছেড়ে দিব। এর মাঝখানে আমরা কোনোকিছুই জানতাম না। এভাবেই কাবিননামায় সই নিছে। আর এর সাক্ষি ছিল মুশতাকের বাড়ির চাকর। 

কিছুদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ - dainik shiksha সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ কারিগরির এসএসসি ও দাখিলের রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়লো - dainik shiksha কারিগরির এসএসসি ও দাখিলের রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়লো প্রাথমিকের ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা - dainik shiksha প্রাথমিকের ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘তুমি কে আমি কে? আদুভাই আদুভাই’ স্লোগান শেকৃবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ‘তুমি কে আমি কে? আদুভাই আদুভাই’ স্লোগান শেকৃবি শিক্ষার্থীদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে একগুচ্ছ প্রস্তাব - dainik shiksha মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে একগুচ্ছ প্রস্তাব ঢাবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ - dainik shiksha ঢাবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053520202636719