দাখিল পরীক্ষার তিন বিষয়ের খাতা স্কুলের শিক্ষকদের দিয়ে মূল্যায়নের সুপারিশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া নামে সংগঠন। শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলা, ইংরেজী ও গণিত বিষয়ের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য মাদরাসা শিক্ষকরাই যথেষ্ট। মাদরাসায় যারা এসব বিষয়ে পাঠদান করেন, তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত। বিএসসি কিংবা এমএসসি ক্ষেত্র বিশেষ ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স পাস করা শিক্ষকরাই মাদরাসায় অংক বা ইংরেজির মতো বিষয়গুলো পড়ান। হয়তো হাতে গোনা দু‘একজন শিক্ষক নিয়ে সমস্যা হতে পারে; যেটা অন্য ধারার শিক্ষায় ব্যবস্থায় ভূরি ভূরি। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু এ খোঁড়া অজুহাতে ভিন্ন ধারার শিক্ষকদের দিয়ে উল্লেখিত বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়নের সুপারিশ কেবল মাদরাসা শিক্ষাকে তাচ্ছিল্য করা ও একটি গোষ্ঠীর এ শিক্ষার প্রতি বিষদগারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
বক্তারা আরও বলেন, এসব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা ও সম্মান অক্ষুন্ন রেখে মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে পিটিআই ও বিএড, এমএডের মতো মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন এবং প্রাইমারি ও মাধ্যমিকের মতো ইবতেদায়ি ও দাখিল মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করুন।
মানববন্ধনে অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি মুহম্মদ জহিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোস্তফা আল মুজাহিদ, ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি মোস্তফা তারেকুল হাসান, তালাবায়ে আরাবিয়ার সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল কাদির, মুহাম্মদ আব্দুর রহমানসহ অনেকে।
এর আগে গত ৪ মার্চ দাখিল পরীক্ষার তিন বিষয়ের খাতা অন্য বোর্ডের শিক্ষকদের দিয়ে দেখানোর প্রস্তাব করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, মাদরাসা শিক্ষার জন্য সরকার অনেক টাকা খরচ করে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আমরা দেখতে পাই না। তাদের শিক্ষার গুণগতমান প্রত্যাশিত মাত্রায় অর্জিত হয় না। আলিয়া মাধ্যম থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের আমরা গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ভূমিকা রাখতে দেখিনা। এ কারণেই আমরা মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের খাতা অন্য কোন মাধ্যমের শিক্ষকদের মূল্যায়ন করার সুপারিশ করেছি। এটা করা গেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা চাপ থাকবে এবং তারা নিজেদের গুণগত মান উন্নত করার চেষ্টা করবে। তিনি আরও বলেন, মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক শিক্ষকদের মধ্যে নিজেদের চাকরির স্বার্থে শিক্ষার্থীদের পাস করানোর প্রবণতা দেখা যায়। আমাদের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে এই সুযোগ তারা পাবে না।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।