এক অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় ৫ দিনের মধ্যে ব্যাখা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। কলেজ সভাপতি ও সেই অধ্যক্ষকে এই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
দুর্নীতিবাজ এই দুই শিক্ষক হলেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর হাঁসাড়া কালী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামাল উদ্দিন ও প্রভাষক মো. দাদন।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ আগস্টে এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাত, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠায় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি অধিদপ্তর তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে।
কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে উঠে আসে মো. জামাল উদ্দিন ও মো. দাদনের ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র।
এই দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে, আয় ও ব্যয় ক্যাশ বইতে সঠিকভাবে লিখতেন না অধ্যক্ষ। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়ও ক্যাশ বইতে লিখতেন না তিনি। এই আয়-ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে- শ্রেণি কালেকশন, বিবিধ আয় ব্যতীত ব্যাংকের সুদ, বিভিন্ন কর্তন, চেক বই চার্জ ইত্যাদি বিষয়।
এ ছাড়াও নির্ধারিত ব্যয় সীমার ঊর্ধ্বে টাকা ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রচলিত সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করতনে না তারা।
সম্মানির টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা বা তদূর্ধ্ব ক্ষেত্রে রাজস্ব টিকিট ব্যবহার করা হয়নি। কাঁচা ভাউচারের ক্ষেত্রেও রাজস্ব টিকিট লাগানো হয়নি। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে ভাউচার সঠিকভাবে তৈরি ও অনুমোদন করা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানের সব আয় ব্যাংক হিসাবে জমা না করে নগদ টাকা হাতে রেখে ব্যয় করার প্রবণতা ছিলো এই দুই শিক্ষকের।
এ ছাড়াও মোহাম্মদ দাদন সমাজকর্ম বিষয়ের প্রভাষক হলেও তিনি ইংরেজি ক্লাস নিতেন। এর কারণ হিসেবে অধ্যক্ষ উল্লেখ করেন শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে কলেজে।
এমন পরিস্থিতিতে মাউশি অধদপ্তরের কর্মকর্তারা ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা ও মতামত দিতে বলেছেন।