জালসনদধারী একজন প্রভাষক ও একজন কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা করে ফেঁসে গেছেন এক অধ্যক্ষ। জাল সনদধারী শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও আবেদন করায় অধ্যক্ষের এমপিও বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ে জালসনদ নিয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন সেক্রেটারিয়াল সায়েন্সের বিষয়ের প্রভাষক মো. আপেল উদ্দিন ও কম্পিউটার ল্যাব সহকারী মো. জুয়েল হোসাইন। তারা জাল প্রশিক্ষণ সনদ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত আছেন। তাদের এমপিওভুক্তির চেষ্টা করে আবেদন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছিলেন অধ্যক্ষ মো. মুরতুজা হোসেন। কিন্তু প্রভাষক ও কর্মচারীর প্রশিক্ষণ সনদ জাল বলে প্রত্যয়ন দিয়েছে নেকটার। তথ্য গোপন করে দুইজন জাল সনদধারীর এমপিও আবেদন পাঠানোয় অধ্যক্ষ মো. মুরতুজা হোসেন এমপিও বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে তার এমপিও কেন স্থগিত বা বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে অধ্যক্ষকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের সেক্রেটারিয়াল সায়েন্সের বিষয়ের প্রভাষক মো. আপেল উদ্দিন ও কম্পিউটার ল্যাব সহকারী মো. জুয়েল হোসাইনের এমপিও আবেদন করা হয়েছিল ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে। অধিদপ্তরে ৪৫ তম এমপিও সভায় তা উত্থাপন করা হয়েছিল। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবেদনের সাথে সংযুক্ত প্রশিক্ষণ সনদ সে বছরের নভেম্বর মাসে নেকটারে পাঠানো হয়।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানায়, অধ্যক্ষ মো. মুরতুজা হোসেন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে ওই দুই শিক্ষক কর্মচারীর সনদ সঠিক উল্লেখ করে নেকটারের কর্মকর্তাদের জাল স্বাক্ষরে একটি প্রত্যয়ন অধিদপ্তরে জমা দেন। কিন্তু এরআগেই ডিসেম্বর মাসে অধিদপ্তরের চিঠির জবাব পাঠায় নেকটার। এতে বলা হয় অভিযুক্তদের সনদগুলো নেকটার ইস্যু করেনি।
সম্পূর্ন বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের এমপিও কমিটির ৪৭তম সভায় আবারও আলোচনা হয়। ভুয়া সনদধারীদের এমপিও আবেদন পাঠানোয় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের বিএম এমপিও নীতিমালা অনুসারে ভুয়া ও জাল সনদধারীদের এমপিও আবেদন পাঠানোয় অধ্যক্ষের এমপিও কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয় এমপিও কমিটি। অধ্যক্ষ বিধিসম্মতভাবে তার এমপিও আবেদন পাঠাননি।
সূত্র আরও জানায়, তাই অধ্যক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। জালসনদ নিয়োগ পাওয়া সেক্রেটারিয়াল সায়েন্সের বিষয়ের প্রভাষক মো. আপেল উদ্দিন ও কম্পিউটার ল্যাব সহকারী মো. জুয়েল হোসাইনের এমপিও আবেদন পাঠানোয় তার এমপিও কেন বাতিল বা স্থগিত করা হবে না তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষ মো. মুরতুজা হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব পাঠাতে বলা হয়েছে। অধ্যক্ষের পাঠানো জবাবের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর সূত্র।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।