নাটোরের গুরুদাসপুরের রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজে ১৫ সালে ভর্তি হওয়ার পর দু্ই বছরে চার দফায় উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো টাকাই পায়নি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ৪১ ছাত্রী। শিক্ষাবর্ষ শেষ হয়ে গেলেও ফাইল বন্দি রয়েছে এসব ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা। অথচ শিক্ষকদের টিউশন ফি’র টাকা তুলে নিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এতে ক্ষোভে উপবৃত্তি না পাওয়া ছাত্রীরা দ্রুত টাকা পাওয়ার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রী ভর্তির পর নির্দেশনা মোতাবেক বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে ১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ৪১ ছাত্রীর তালিকা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এ লক্ষ্যে ছাত্রীদের নামে সে সময় ডাচবাংলা ব্যাংকে হিসাব নম্বর খোলা হয়। তালিকা প্রেরণের ছয় মাসের মধ্যেই এসব ছাত্রী উপবৃত্তি টাকা পাওয়ার কথা। বিধি মোতাবেক বিজ্ঞান বিভাগের জন্য প্রথম দফায় ৩ হাজার, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের জন্য ২ হাজার ১শ’ টাকা বরাদ্দ থাকে। সব মিলিয়ে দুই বছরে চার দফায় ৪১ ছাত্রীর ১ লাখ ৮১ হাজার ২শ’ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর এই কলেজের কোনো ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পায়নি।
অধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ডাচবাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার থাকে না। তবুও শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জাননো হয়েছে।
ডাচবাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নাটোর অফিসের ইনচার্জ মোঃ মোজাহিদুর রহমান বলেন, তাদের পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি নেই। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাদের কাছে মনোনীত ছাত্রীদের তালিকা দেওয়া হলে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারবেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তাকে আগে জানানো হয়নি। কেন টাকা আসেনি সেটাও তার জানা নেই। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। কাগজ পেলে খুব দ্রুত ডাচবাংলা ব্যাংকের সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে।