দুই ভাগে ভাগ হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর নামে আরেকটি বিভাগ চালুর জন্য একটি প্রস্তাব এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে নতুন নামে পরিচালিত হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভেঙে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর নামে আরেকটি বিভাগ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভাগ করে জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি নামে বিভাগ চালু করা হবে। তবে বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ দুটি বিভাগ চালু করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এছাড়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও অনেকটা বেড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্তসংখ্যক শিক্ষক নেই। ফলে প্রকৃত মেডিকেল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভবিষ্যৎ চিকিৎসকরা। এসব বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও সমাধার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর প্রয়োজন। অন্যদিকে দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে অসংখ্য হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সেবার মান দেখার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুই ভাগ হলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে তিন ভাগে ভাগ করা উচিত। একটি মেডিকেল শিক্ষা, একটি জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি এবং আরেকটি স্বাস্থ্যসেবা। মেডিকেল শিক্ষার মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক থাকবে আর জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির মধ্যে টিকাদান, পুষ্টি কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সব ধরনের চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানকে তদারকি করবে। এতে করে জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে। মানুষ সব ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, দেরিতে হলেও সরকার একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তটি বহু আগেই নেয়া উচিত ছিল।