দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা তোলার অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি |

এএইচএম হাবিবুর রহমান একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ ও অপর একটি মাদরাসার সুপার। দুই প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতায় আছে তার স্বাক্ষর। পৃথক দুই ব্যাংক থেকে টানা ৭ মাসের বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন তিনি। অবশ্য একটি প্রতিষ্ঠানের বেতন ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে নাশকতা মামলায় হাজতবাসের দিনগুলো ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে ছুটি ভোগ করেছেন। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসী লিখিত আবেদন দিয়েছেন।

যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিংগা দাখিল মাদরাসার সুপার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ নবেম্বর মনিরামপুর উপজেলার টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদরাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এরপরও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ম্যানেজ করে পূর্বের কর্মস্থলে গোপনে হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করতেন।

পূর্বের কর্মস্থল যশোর সদর উপজেলায় হওয়ায় রূপালী ব্যাংক যশোর শাখা টি-২১৪১৪২৮ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর থেকে প্রায় ২ লাখ ১১ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। নতুন কর্মস্থলে অধ্যক্ষ পদের বিপরীতে চলতি বছরের জুলাই মাসের এমপিওতে (মান্থলি পে অর্ডার) বকেয়াসহ ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৪ টাকা রূপালী ব্যাংক মনিরামপুর শাখার টি-৪৭০৬ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর থেকে উত্তোলন করেন। এছাড়া ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর মনিরামপুর থানায় অধ্যক্ষ এএইচএম হাবিবুরের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি ৩৫ নম্বর আসামি। মামলায় একবার আটক হন এবং চলতি বছরের ২০ আগস্ট নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে ১১ দিন হাজতবাস করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে হাজতবাসের দিনগুলো অধ্যক্ষ ভুয়া মেডিক্যাল নিয়ে ছুটি ভোগ করেছেন।

অধ্যক্ষ এএইচএম হাবিবুর মোবাইল ফোনে জানান, উত্তোলনকৃত অতিরিক্ত অর্থ চলতি মাসের ৫ তারিখে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। নাশকতা মামলায় হাজতবাসের কথা জানতে চাইলে এখন কথা বলার সময় নেই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

পূর্বের কর্মস্থলের সভাপতি আব্দুল লতিফ জানান, অন্যত্র যোগদানের পর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয়া ভুল ছিল। বর্তমান কর্মস্থলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোড়ল বলেন, দুই প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উত্তোলন করলেও পরে তিনি নিয়মানুযায়ী পরিশোধ করেছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, এমন দুর্নীতি হয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025069713592529