নিয়মিত মহাপরিচালক না থাকায় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নিয়মিত এমপিও কমিটির সভা হ-য-ব-র-লভাবে শেষ হয়েছে। প্রতি বিজোড় মাসে ব্যক্তি এমপিওর সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সাধারণ স্কুল-কলেজের নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত করার দায়-দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের। ৩০ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত মহাপরিচালকের পরিবর্তে রুটিন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীকে।
তিনি করোনাআক্রান্ত হওয়ায় মাত্র দুইমিনিটের জন্য ভয়েস শুনিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেউ অংশ নেননি সভায়। সভায় কর্মকর্তারা সশরীরে অংশ নেন। সভায় অংশ নেয়া একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তারা জানান এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে বিভিন্ন সময় নিয়োগ পেয়ে অনলাইনে আবেদন করা ২ হাজার ২৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়াও কমিটির সভায় ১ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে উচ্চতর গ্রেড ও ৬৮ জন শিক্ষককে বিএড স্কেল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় অংশ নেয়া কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, এদিন এমপিও কমিটির সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা অংশ নেননি। সভাপতি অংশ নিলেও খুব কম সময়ের জন্য যুক্ত হয়েছিলেন। সভা কিছুটা হ-েয-ব-র-লভাবে শেষ হয়েছে।
এমপিওভুক্ত হচ্ছেন ২ হাজার ২৭৮ জন শিক্ষক কর্মচারী :
জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের সভায় মোট ২ হাজার ২৭৮জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল কর্মরত ১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন। আর বিভিন্ন কলেজের ৪৪৮জন শিক্ষক কর্মচারী।
কর্মকর্তারা জানান, স্কুলের ১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৮৬ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০৫ জন, কুমিল্লার ১১১ জন, ঢাকার ২১০ জন, খুলনা অঞ্চলের ৩৮০ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ২৯৪ জন, রাজশাহীর ২৭৩ জন, রংপুরের ৩৩৮ এবং সিলেটের ৩৩ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন। আর একজন অনলাইনে আবেদন করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন।
অপরদিকে কলেজের ৪৪৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশালের ৩৬, চট্টগ্রামের ১৭, কুমিল্লার ১৭, ঢাকার ৪০, খুলনার ১৩৪, ময়মনসিংহের ১৯, রাজশাহীর ৫১, রংপুর অঞ্চলের ১২৫ জন এবং সিলেটের ৯ জন।
উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছেন ১ হাজার ৭৭৯ শিক্ষক-কর্মচারী :
এমপিও কমিটির সভায় মোট ১ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে স্কুলের ৪৩১ জন এবং কলেজের ১ হাজার ৩৪৮জন শিক্ষক কর্মচারী।
উচ্চতর গ্রেড পাওয়া স্কুলের ৪৩১ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ২৭ জন, চট্টগ্রামের ৩১ জন, কুমিল্লার ৩৬ জন, ঢাকার ৬৪ জন, খুলনার ৫২ জন, ময়মনসিংহের ৪৬ জন, রাজশাহীর ৭৮, রংপুরের ৫৮ এবং সিলেট অঞ্চলের ৩৯ জন।
অপরদিকে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া কলেজের ১ হাজার ৩৪৮ শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশালের ২৬২ জন, চট্টগ্রামের ১৪৬, কুমিল্লার ২৪৭, ঢাকার ২৫০ জন, খুলনার ৯৭ , ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১৮৮, রাজশাহীর ৪৮, রংপুর অঞ্চলের ১০৪ এবং সিলেটর ৬ জন।
বিএড স্কেল পাচ্ছেন ৬৮ শিক্ষক :
এমপিও কমিটি বৃহস্পতিবারের সভায় ৬৮জন স্কুল শিক্ষককে বিএড স্কেল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএড স্কেল পাওয়া স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ২, চট্টগ্রামের ৪, কুমিল্লার ৩ জন, ঢাকা অঞ্চলের ৭ জন, খুলনা অঞ্চলের ২৫ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৫, রাজশাহীর ১৬ জন, রংপুর অঞ্চলের ৩ এবং সিলেট অঞ্চলের ৩ জন।