অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে এই টাকা কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিন রায় ঘোষণার আগে সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
একই আইনের ২৭ (১) ধারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এর আগে দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১০ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় সোমবার রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেন।
অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এই মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
এর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদকে অস্ত্র আইনে মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুলাই সাহেদকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।