দুবাইয়ে ৪৫৯ জন বাংলাদেশির সম্পত্তি কেনার অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এই অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
অনুসন্ধান কার্যক্রমের অগ্রগতি জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে চারটি সংস্থাকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে ১০ জানুয়ারি একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে একই আইনজীবীর ২০২১ সালে করা একটি রিট বিচারাধীন রয়েছে।
রুলে বিদ্যমান আইনি বিধান ভঙ্গ করে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মানিলন্ডারিং করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বেআইনিভাবে অ্যাপাটর্মেন্ট ও বাড়ি বা অন্য কোনো সম্পদ কিনেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অন্য কোনো সম্পত্তি ক্রয়কারী এবং মানিলন্ডারিংয়ে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪ এডিএস) সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত তাঁদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি সম্পত্তি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। কাগজে-কলমে এর মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদককে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।