আসন্ন দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো-আসন্ন দুর্গা পুজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, দুর্গা পুজায় প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি টিভির ব্যবস্থা করা, কোনো প্রতিষ্ঠানের ছাত্র নয় সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে। সংগঠনের সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান সমন্বয়কারী ড. সোনালী দাস ও নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি প্রভাস চন্দ্র মণ্ডল, তপন কুমার হাওলদার, জগন্নাথ হালদার, সুনীল মালাকার, সঞ্জয় কুমার রায়, যুগ্ম মহাসচিব শিপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ ধর্মীয় উৎসব সমগ্র বাঙালি জাতির ঐক্যের ও মিলনের মহোৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়কে ৫ দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থেকে ও ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই দুর্গাপূজা সম্পাদন করতে হয়। দুর্গাপূজার মূল তিনটি দিনই হলো- সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী।
বক্তারা আরও বলেন, দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। কারণ, ৫ দিনের দুর্গাপূজায় মাত্র একদিন সরকারি ছুটি। যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই দুর্গা পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে— এবার থেকে দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি তিনদিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) ঘোষণা করা হোক।
এছাড়া দুর্গাপুজায় প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি টিভির ব্যবস্থা করা, কোনো প্রতিষ্ঠানের ছাত্র নয় সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবিও জানানো হয়।