দুর্নীতির ব্যয় মেটাতে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির ফলে যে ব্যয় বেড়েছে, সেই ঘাটতি মেটাতে সরকার বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে তিন দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির কারণে যে ব্যয় বেড়েছে, তার ঘাটতির জোগান দিতে জনগণের পকেট কাটতে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

বুধবার (১ মার্চ) বিকালে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বরিশাল বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গতকাল রাতে বিদ্যুতের দাম আরো পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যেটা এ কয়েক মাসের মধ্যে তিনবার বাড়ানো হলো। মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাতে করে আমাদের সমস্ত উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কল-কারখানার থেকে শুরু করে মানুষের জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে।  নিত্যপণ্যের দাম ৫৯ ভাগ বেড়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চাল-ডাল-তেল লবণের প্রতিটির মূল্য আজকে ভয়ানকভাবে বেড়েছে।

প্রাইমারি বৃত্তির ফল স্থগিতের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষার ফল গতকালই ঘোষণা করার চার ঘণ্টার মধ্যে আবার সেই ফলাফল স্থগিত করা হলো। অর্থাৎ গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাই শুধু নয়, এ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলও সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেনি। পুরোপুরি ব্যর্থ। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখুন, ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের অত্যাচার-নির্যাতনে আজকে মেয়েরা পর্যন্ত নিরাপদ নয় এবং সেখানে কি ভয়াবহ নির্যাতন হয়েছে যে, হাইকোর্ট বলেছে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলোতে একই অবস্থা।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও প্রায় ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। তার মধ্যে তাদের লুটপাট বন্ধ নেই। তারা রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি করে পাচার করে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো থেকে তারা টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়ি তৈরি করছে। গতকাল একটা পত্রিকায় দেখলাম যে, এক ব্যক্তির নিউইয়র্কে ৪০টি বাড়ি টাকার পাচার করে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষ খাদ্যাভাবের মধ্যে বসবাস করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনকে আরো জোরদার করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034568309783936