বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদলত। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন আদেবন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে সেলিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি-জামাত জমানায় জালিয়াতি করে দনিয়া একে হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদ বাগান সেলিম ভুইয়া। অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য-সচিব নিযুক্ত হয়ে লুটপাট করেন তিনি। কল্যাণ ট্রাস্টেরও সদস্য-সচিব থাকাকালে লুট করেন বেসরকারি শিক্ষকদের জমানো টাকা। আর কলেজ ফান্ডের টাকা কলেজের হিসাবে জমা না দিয়ে নিজের অটোপার্টসের দোকানের হিসাবে জমা দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এছাড়া বিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাসের সময় জঙ্গীদের অর্থ সরবরাহ করার অভিযোগে প্রথমে গ্রেফতার হন তিনি।
সম্প্রতি দুদকে দাখিল করা সম্পদবিবরণীতে ১০ কোটি ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং এক কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার ৮৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জুন বরখাস্ত অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার কাছে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। ওই বছরের ৪ জুলাই কমিশনের সচিব বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদবিবরণী যাচাই-বাছাই করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
সনদ জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়াকে প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।