দুর্নীতি আর প্রকল্প পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার দায়ে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ (এনএএএনডি) প্রকল্পের পরিচালক সালমা বেগমকে। তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। সালমাকে সরিয়ে অন্য একজন কর্মকর্তাকে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে দৈনিকশিক্ষা ডটকমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সালমা বেগম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজের পদ টেকাতে সর্বশেষ তদবির করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে সরিয়ে দেয়ার আদেশটি দু' একদিনের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে।
জানা যায়, সালমার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনক কারণে কোনও শাস্তি হয়নি এতদিন। কেনাকাটা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই দুর্নীতি আর অনিয়মে চার বছর আগে যাত্রা শুরু করা প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় শূন্য। এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে। মাউশি অধিদপ্তর ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, অস্বচ্ছতা ও দলাদলির কারণে প্রতি অর্থবছরেই প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগই ফেরত যাচ্ছে। আবার মাউশি অধিদপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারছে না। এনএএএনডি প্রকল্পটি মাউশি অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।
দেশের অটিজম আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসাসহ নানা রকম সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রকল্পটি গ্রহণ করে। ৩০৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের অদক্ষতার কারণে এনএএএনডি’র বাস্তবায়ন অত্যন্ত ধীরগতিতে এগুচ্ছে। এ প্রকল্পের কর্মকর্তারা যখন খুশি অফিসে আসছেন, যাচ্ছেন।
