যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বা শিক্ষার মান ভালো সে দেশ উন্নত। আর যাদের শিক্ষায় ধস নামে তাদের অবনতি হয়। আমার মনে হয়, দৈনিক শিক্ষাডটকম শিক্ষার উন্নয়নের নিশানা হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার ধারণা, দৈনিক শিক্ষাডটকম যখন আমাদের বার্তা হয় তখন সেটা হয় সবার বার্তা, আমি এই দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য কামনা করি।
শিক্ষা বিষয়ক ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিয়ে এ কথা বলছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দৈনিক শিক্ষাডটকমের যুগপূর্তির মিলন মেলায় এভাবেই তিনি নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
আরও পড়ন : দৈনিক শিক্ষাডটকম এর খবরে আস্থা রাখতে পারি : মহাপরিচালক
দৈনিক শিক্ষাডটকম শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী ও সুধিজনদের নিয়ে দিনব্যাপী মিলন মেলা আয়োজন করে। দেশাত্ববোধক গান ও কবিতা আবৃত্তির ফাঁকে এ মেলায় শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
বক্তব্যের শুরুতে দুদক কমিশনার বলেন, দৈনিক শিক্ষাডটকমের দেখতে দেখতে ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আমি এক সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলাম, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে।
আমি অবশ্য সচিব হয়ে যাই ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে। সে হিসেবে দৈনিক শিক্ষাডটকমের শুরু আমি (শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থেকে) না দেখলেও আমি (এ মন্ত্রণালয় থেকে) চলে যাওয়ার পরে আরম্ভ হয়েছে। দৈনিক শিক্ষাডটকমের জন্মের আগে আমি ছিলাম। তখন দৈনিক শিক্ষাডটকমের বর্তমান সম্পাদক ও প্রকাশক সিদ্দিকুর রহমান খানের সঙ্গে আমার কথা হতো।
শিক্ষা নিয়ে তিনি ভাবতেন। তাঁর ভাবনার একটি প্লাটফর্ম দৈনিক শিক্ষাডটকম। এর মাধ্যমে শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়, শিক্ষা উন্নয়ন শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের কাছে তুলে ধরেন। আমি দৈনিক শিক্ষাডটকমের উত্তরোত্তর সাফল্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি।মোজাম্মেল হক খান আরো বলেন, আশা করছি আগামী দিনের দৈনিক শিক্ষাডটকম আরেকটি মিলন মেলার আয়োজন করবে। এর সাফল্য দেখে আমি মুগ্ধ হতে চাই। আশা করি, শিক্ষার কল্যাণে দৈনিক শিক্ষাডটকম যে ভূমিকা রাখছে আগামীতে তা আরো বেশি পরিপক্ক হবে এবং দেশে কল্যাণে সেটি আরো বেশি কার্যকর ভূমিকার রাখবে। দৈনিক শিক্ষাডটকমের সম্পাদকসহ যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন সবার প্রতি আমার শুভাশীষ, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।