পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দধিভাঙ্গা অ্যাডভোকেট জিয়াউল ফারুক তালুকদার কলেজের গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে অধ্যক্ষ ও কলেজ গভর্নিং বডির দ্বন্দ্বে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। প্রভাষক নিয়োগের নামে অনিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অর্থ বাণিজ্য ও কলেজের নামে অবৈধ জমিদখল, অধ্যক্ষকে বেতন-ভাতা না দিয়ে অপসারণের হুমকিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে। কলেজ অধ্যক্ষ এর প্রতিকার চেয়ে গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং তিনি চার মাস ধরে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
অধ্যক্ষ মো. ইমাদুল হক দুলালের অভিযোগ, কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর প্রতিষ্ঠাতা ও তাঁর স্বজনরা মিলে অনিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। কলেজে ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগে তিন-চার লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। নিয়োগকৃত শিক্ষকদের আটজনই অনিবন্ধিত। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব যখন চরমে তখন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, কলেজের গভর্নিং বডি অধ্যক্ষকে নানাভাবে হয়রানি করছে। কয়েক মাস আগে অধ্যক্ষ যাতে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে না পারেন সে জন্য কলেজের যাবতীয় কাগজপত্র গভর্নিং বডির সভাপতির বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ সভাপতির বাড়ি থেকে হাজিরা খাতাসহ অন্যান্য কাগজপত্র কলেজের আলমারিতে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন। চার মাস ধরে অধ্যক্ষের সঙ্গে গভর্নিং বডির দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করলে অধ্যক্ষ কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
তবে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম রহমান টিটু এসব অভিযোগ বানোয়াট দাবি করে বলেন, ‘সব যাচাই করতে গেলে প্রতিষ্ঠান চালানো যায় না। তবে নিয়োগপ্রাপ্ত অনিবন্ধিত প্রভাষকদের অলিখিত শর্ত দেওয়া আছে।’