দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি |

লক্ষ্মীপুরে চাঞ্চল্যকর সাত বছরের শিশু নুসরাত জাহান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি শাহ আলম রুবেলকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর আসামি বোরহান উদ্দিনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী এই রায় দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবুল বাশার। তিনি জানান, সাত বছরের শিশু দ্বিতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যা ও ধর্ষণ মামলাটি দীর্ঘ শুনানি ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে রুবেলকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

এছাড়া এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং আরও চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মামলার অপর আসামি বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন। 

এদিকে মামলার বাদী নুসরাতের মা রেহানা বেগম ও চাচা আকবর হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, সাড়ে তিন বছর পর এই মামলার রায় হলো। সে সময় এ ঘটনার বিচারের দাবিতে লক্ষ্মীপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছিল। উচ্চ আদালতেও যেন এ রায় বহাল থাকে এবং রায় দ্রুত কার্যকরের প্রত্যাশা করেন তারা।  

অপর দিকে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল আলম জানান, নুসরাত জাহান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রুবেলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। রায়ের দিন তার মক্কেল পক্ষের আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন না। এ রায়ে তার কিছু বলার নাই। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ফয়েজে নূর মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ঘটনায় নুসরাতের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে ২৫ মার্চ রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় শিশুটির দূরসম্পর্কের আত্মীয় শাহ আলম রুবেল ও স্থানীয় অটোরিকশাচালক বোরহান উদ্দিনকে আসামি করা হয়। ২৬ মার্চ উপজেলার ব্রক্ষ্মপাড়ার ব্রিজের নিচ থেকে নুসরাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তদন্তে ধর্ষণ শেষে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়। পুলিশ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত দীর্ঘ শুনানি ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.011115074157715