২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজে রসায়ন বিভাগে (স্নাতক ১ম বর্ষে) ভর্তি হয়েছিলেন সাদিয়া আফরিন বৃষ্টি। পরের বছর ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে আবার গণিত বিভাগে ভর্তি নেন তিনি। এই শিক্ষার্থী এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বৈত-ভর্তি রয়েছেন। শুধু সাদিয়া আফরিন বৃষ্টি নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের বিভিন্ন কলেজে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ৯৫৪ জন এখনও দ্বৈত-ভর্তি রয়েছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়ে সেটি বাতিল না করে এসব শিক্ষার্থী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে আবারও অন্য কোর্সে নতুনভাবে ভর্তি হয়েছেন। আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে এসব শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের (২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি বাতিল করতে সম্প্রতি একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন কোর্সে এখনও ভর্তি রয়েছে, সে সকল দ্বৈত ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হলো। এই তালিকা অনুযায়ী তাদেরকে শেষবারের মত আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল/স্নাতক (পাস) ভর্তি বাতিলের সুযোগ দেয়া হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তালিকায় প্রকাশিত দ্বৈত ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সকল শিক্ষার্থী এই তারিখের মধ্যে ২০২০- ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করবেনা, তাদের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করা হবেনা। তবে তাদের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বহাল থাকবে।
“দ্বৈত ভর্তির তালিকায় প্রকাশিত কোন শিক্ষার্থী যদি দাবী করে যে, সে তার পূর্বের ভর্তি ইতোমধ্যে বাতিল করেছে এবং ২৮ তারিখ পর্যন্ত যেসকল শিক্ষার্থীরা ভর্তি বাতিল করবে তারা ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফরমসহ বাতিলের প্রমাণাদি (ভর্তি বাতিল পূর্বক মূল মার্কশিট ফেরত দেয়ার অনুমতি পত্রের কপি ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ৩০ মার্চের মধ্যে প্রেরণ করতে হবে।”