রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ সহজতর করাতে তৈরি করা মোবাইল এপ্লিকেশন ‘বাঁধন অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে সংগঠনটির ২৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য বলেন, যারা নিজের জীবনের কথা না ভেবে আর্তমানবতার সেবায় এবং অন্যের উপকারে কাজ করে তারা মহৎ ও অনেক বড় মাপের মানুষ। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে বাঁধনের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এই সংগঠনটি যে কোনো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজকে আর্তমানবতার সেবায় ও অন্যের কল্যাণে কাজ করার শিক্ষা দেয়। বাঁধন অ্যাপের মাধ্যমে রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে থেকে সংযোগ সৃষ্টির নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। বাঁধনের মহৎ কর্মপ্রয়াস আরো প্রসারিত হবে এবং মানবসেবায় বাঁধন কর্মীরা অবদান রাখবে বলে আশা করি।
বাঁধন ফাউন্ডেশনের সভাপতি রকীব আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমীন আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ফাহিম হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অ্যাপ উদ্বোধনের পর সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে লেকচার থিয়েটার ভবন থেকে ক্যাম্পাসে এক র্যালি বের করা হয়।
জানা যায়, বাঁধন অ্যাপ ইনস্টল করে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতা ও রক্তদাতা এই সেবার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। ডিজিটাল চাহিদাপত্রে রোগীর অবস্থানকৃত হাসপাতালের নাম ও বিস্তারিত তথ্য ইনপুট দিলে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় রক্তদাতার সন্ধান দেবে এই অ্যাপ। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে মিলবে রক্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে সারাদেশ থেকে প্রায় ৬০হাজার রক্তদাতার তথ্য দেয়া হয়েছে এই অ্যাপে, যা পরবর্তীতে আরো বৃদ্ধি করা হবে। যেকোনো ডোনার নিজের সুবিধামতো রক্তদাতার তালিকা থেকে নিজের নাম সংযুক্ত বা অবমুক্ত করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ‘বাঁধন’ ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দেশের ৫৪টি জেলার ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে চলছে।