দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তারেক রহমানের

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক |

দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে-এমন দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এই দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, উন্মুক্ত হয়েছে গণতন্ত্রের দ্বার। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করুন। ধর্ম, বর্ণের কারণে কেউ যেনো নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে। মুলমান, হিন্দু ,খ্রিস্টান বৌদ্ধ যাই হোক না কেন তার নিরাপত্তায় ঢাল হয়ে দাঁড়ান। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।

পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, পুলিশ জনগণের শত্রু নয়। গণহত্যাকারী হাসিনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা চাকরিবিধি মেনেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, পুলিশ কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করুন। কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার তাকে আইনের হাতে তুলে দিন। দেশবাসীর কাছে আহ্বান কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না।

নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য কোনো সমাধান না বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে আমদানি নির্ভর কিংবা বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা থেকে বের করতে হবে। রফতানির আওতা যেকোনো মূল্যে বাড়াতে হবে। দক্ষ ও মেধাবী প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক রহমান।

এর আগে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের ছাত্ররা অত্যন্ত ম্যাচুরিটির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

সবাইকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আলমগীর বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা কোনো ভাঙচুর, রাহাজানির সঙ্গে জড়িত হয় না। আগুন-অগ্নিসংযোগে আপনারা জড়িত হবে না। যারা জড়িত হয় তারা দেশের শত্রু, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ষোলো বছর নেতা-কর্মীরা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে তাদের দেশগঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

ফখরুল বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, তাদের দোসরাও পালিয়ে গেছে। তারা যেনো আর ফিরে আসতে না পারে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028238296508789