টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর, দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ি ও সবজির খেত।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এর স্থানীয় অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৬ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিলো। এছাড়া অনান্য নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছিলো।
এদিকে অতিরিক্ত পানির তোড়ে নদনদীর তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্ট দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আব্দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ধরলার পানি বাড়ার কারণে আমার পটল খেত তলিয়ে গেছে। এখন সব পটলের গাছ মরে যাবে। এখন পানি না আসলে আরও অনেক টাকা পটল বিক্রি করে লাভবান হতে পারতাম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আর দু-একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুক শিমুল বাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।