দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: ‘আমি ধর্মমন্ত্রীর পিএস বলছি। সকল ধর্মীয় শিক্ষকদেরকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করানো হবে। হজ বাবদ শিক্ষকদেরকে দেওয়া হবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে....এ সুযোগ পেতে আপনাকে এখনই ৫ হাজার টাকা বিকাশ করতে হবে।’
গেলা কয়েকদিন ধরে মেহেরপুর জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা শিক্ষকদেরকে এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে। অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিজেকে ধর্মমন্ত্রীর পিএস দাবি করে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
গাংনী উপজেলার ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার মোবাইলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি কল দিয়ে ধর্মমন্ত্রীর পিএস দাবি করে হজের কথা বলে ধর্মীয় শিক্ষককে কল দিতে বলেন। ধর্মীয় শিক্ষক মেজবাউর রহমান কল দিলে তাকে বলা হয় এক লাখ টাকা ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার জন্য। তাছাড়া রয়েছে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। ধর্মমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য বিষয়টি অবগত আছেন বলে দাবি করেন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি।
এ দিকে আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ধর্মীয় শিক্ষকদের একই অফার দেওয়া হয়। হজে গমনের জন্য নামের তালিকা চূড়ান্ত করার কাজের জন্য শিক্ষক প্রতি ৫ হাজার টাকা করে দাবি করেন ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি।
কয়েকজন শিক্ষক জানান, একটি প্রতারক চক্র মন্ত্রী ও তার পিএসের নাম ভাঙিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশে এই ফাঁদ পেতেছে।
রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা থাকলে তা পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়। মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে আমরা জেনেছি যে, বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রতারণা করছে।
মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত নেই। এইসব প্রতারক থেকে সতর্ক হতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় কেউ এখনও পর্যন্ত টাকা দিয়েছে তেমন খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতারণা সন্দেহ হলেও এখনও কোন শিক্ষক থানায় অভিযোগও করেননি।