ধানের চারা খাওয়ায় ছাগলের পেটে ছুরি বসালেন স্কুল শিক্ষক

বরগুনা প্রতিনিধি |
পূর্ব শত্রুতার জেরে বরগুনার বামনায় একটি ছাগলের পেটে ছুরি বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি একটি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনার তদন্তেও নেমেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, অসাবধানতাবশত ঘটেছে এমন ঘটনা।
 
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বামনার সারওয়ারজান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
 
রোববার (২৯ নভেম্বর) বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর এলাকায় এমন নির্মমতার শিকার হয়েছে ছাগলটি। এতে অবলা প্রাণীটির পাঁজর ভেদ করে পেটে ঢুকে যায় ছুরি। এতে কেটে গেছে ছাগলটির পাকস্থলী। আহত ছাগলটি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের চিকিৎসকরা।
 
এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) তদন্ত শুরু করে বামনা থানা পুলিশ। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান।
 
ছাগলটির মালিক বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের মো. সৈকত হাওলাদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার ছাগলটি মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে পাঁজরে ছুরি বসিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
 
এ ঘটনায় মামলার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর আগেও আমি ও আমার পরিবারকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার জমিতে রোপণকৃত ধানের চারা এই ছাগল খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। তাই ছাগলের কাছ থেকে ধানখেত সুরক্ষিত রাখার জন্য আমি বেষ্টনী তৈরি করছিলাম। এমন সময় ফের খেতে এসে ধানের চারা খাওয়া শুরু করে এই ছাগলটি। তখন আমি ছাগলটি তাড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ছুরিটি ছাগলটির দিকে ছুড়ে মারি। এতে ছাগলের শরীরে ছুরিটি বিদ্ধ হয়।’
 
তিনি আরও বলেন, আমি বুঝতে পারিনি যে, ছুড়ে মারা ছুরিটি এভাবে ছাগলের পেটে বিদ্ধ হবে! একজন শিক্ষক হয়ে এ ধরনের কাজ করা একদম সঠিক হয়নি বলেও জানান তিনি।
 
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে কর্মরত ড্রেসার মো. সেলিম খান বলেন, ছুরিবিদ্ধ হয়ে ছাগলটির পাকস্থলী চার ইঞ্চির মতো কেটে গেছে। ছাগলটি বাঁচার সম্ভাবনা কম জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী ছাগলটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
 
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।’

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032289028167725