তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্পের দৃশ্য উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। রাতভর তারা উদ্ধারকাজ চালান। এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনা হচ্ছে একের পর এক মরদেহ।
তার্কিশ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে অন্তত ১০টি শহর। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩১৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে তারা। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। অন্যদিকে, সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার চারশ ৪৪ জনে।
সোমবার ভোরের দিকে যখন মানুষজন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক তখনই আঘাত হানে এই ভূমিকম্পে। ভেঙে পড়েছে প্রায় ২ হাজারের মতো ভবন। এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকা বহু মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউএসজিএস জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে।
১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে এই প্রথম এ ধরনের শক্তিশালী ভূ-কম্পন অনুভূত হলো। ইউএসজিএস আরও জানিয়েছে, সে বছরও তুরস্কে ভূ-কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরজিনকান প্রদেশে ভূমিকম্পে সে সময় ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি