নগদের পোর্টালে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রিতে বিড়ম্বনায় শিক্ষক-অভিভাবকরা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি |

এনআইডি ও সিম নিয়ে জটিলতা, অনলাইনে জন্মনিবন্ধন না পাওয়াসহ নানা সমস্যায় নগদের পোর্টালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ডাটা এন্ট্রি করতে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। এতে করে অনেক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। এছাড়া নগদের নতুন সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রি করতে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষকরাও। উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রি নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিক্ষক অভিভাবকরা এসব অভিযোগ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে নগদের পোর্টালে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ডাটা এন্ট্রি শুরু হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে,  ডাটা এন্ট্রির জন্য যে এনআইডি নম্বর দেয়া হবে সে এনআইডি কার্ডের নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু অভিভাবকদের অধিকাংশ সিম কার্ড অ্যানালগ এনআইডি দিয়ে নিবন্ধিত। তাই, অ্যানালগ এনআইডিকার্ডগুলো স্মার্ট কার্ড হওয়ার কারণে পোর্টালের সাথে মিলছে না বলে জানান অভিভাবকরা।

এদিকে, নগদ পোর্টালে ডাটা এন্ট্রি করতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষকরা। একজন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। সময় স্বল্পতার কারণে সবাই একসাথে ডাটা এন্ট্রি করতে চান। ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রমের সময়  রোববারের (১০ জানুয়ারির) শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ বিদ্যালয়ের এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর এখনো ডাটা এন্ট্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

হাটহাজারী পৌরসভার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই শতাধিক। নির্ধারিত সময়ে মাত্র দেড় শতাধিক জন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি করতে পেরেছেন। একজন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি করতে প্রায় ৮-১০ মিনিটের বেশি সময় লাগছে। অনেক সময় ইন্টারনেট সমস্যার কারণে ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় লাগছে।

সাহেদুর রহমান নামে একজন অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মেয়ের উপবৃত্তির ডাটা এন্ট্রির জন্য বিদ্যালয়ে এসেছি। এখনও এন্ট্রি করতে পারিনি। এনআইডি ও সিম থাকলেও নগদ পোর্টালে তথ্যগুলো মিলছে না। তাই তথ্যগুলো পোর্টাল গ্রহণ করছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদা আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নগদে ডাটা এন্ট্রিতে বিড়ম্বনার বিষয়টি আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হয়তো কর্তৃপক্ষ ডাটা এন্ট্রির সময় বাড়াবে। এছাড়াও মোবাইল সিম ও এনআইডি জটিলতার কারণে কোনো শিক্ষার্থী যাতে বাদ না পড়ে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই নির্দেশনা দেবে। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023338794708252