জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নন্দনকানন হিসেবে গড়ে তোলা হবে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেছেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হবে নন্দনকানন। এটি কঠিন কিছু নয়। এর জন্য স্থিতিশীলতা দরকার। ছাত্রছাত্রী শিক্ষক কর্মকর্তারা সহযোগিতা করলে খুব তাড়াতাড়িই এটি সম্ভব হবে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে দুটো গেট হবে প্রধান দুটি ফটক। এখানে অবারিত চলাচলের সুযোগ থাকবে না। ইতোমধ্যে সীমানাপ্রাচীর দৃশ্যমান। এই প্রাচীরের চারপাশ দিয়ে রাস্তা হবে। এখানে জো-বাইক সিস্টেম চালু করা হবে। এই সিস্টেমে শিক্ষার্থীরা সাইকেলে নিমিষেই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যাতায়াত করতে পারবে। আমাদের ইতোমধ্যেই এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জীবন উদযাপনের জন্য আয়োজন-অনুষ্ঠানের দরকার আছে। আমরা যারা আজকে প্রতিষ্ঠিত আমাদের সবার জীবনে ছাত্রজীবন গেছে। আজকে যারা ছাত্রছাত্রী আছো, তাদেরও একসময় জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ আসবে। কিন্তু জীবনের এই পর্বান্তরটি যদি আগে বোঝা যায় তবে জীবনকে গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ আছে।
ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা যারা গত শতকের আট বা নয় দশকের ছাত্র তাদের ছাত্রজীবনের প্রথম ব্রত ছিল দেশকে রক্ষা করা। তখন আমরা জানতাম না পাস করে বেরিয়ে গেলে চাকরি পাবো কি না। কিন্তু আজকের ছাত্রছাত্রীদের সামনে সুসময় এসেছে। চাকরির বাজার খুলে গেছে। বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতাও বেড়ে গেছে। বিশ্বায়নের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত হতে হবে। বিশ্বমানব হয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বমানবের মূলকথা হলো মানবিকতা। সমাজ তথা বিশ্বের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার কথা সবসময় মনে রাখতে হবে।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মুখার্জী। অনভূতি ব্যক্ত করেন বিভাগের শিক্ষার্থী নবীন শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদ ও তাবাসসুম মেহনাজ। এসময় বিভাগের অন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।