জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া ‘চক্রবাকে’ শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সুষম খাবারের জন্য প্রথম সাহ্রিতে গরুর মাংস রান্না করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর শিক্ষার্থীদের পাতে পড়েনি। ক্যাফেটেরিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে, ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের নির্দেশে গরুর মাংস সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা মোড়ে বিভিন্ন ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। মানববন্ধনে ডাইনিং এবং ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনায় দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ করা হয়।
পরে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা কমিটি বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ক্যাফেটেরিয়ায় গরুর মাংস পরিবেশনযোগ্য। এ-সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের কোনো বিধিনিষেধ ছিল না বা নেই।
ক্যাফেটেরিয়ার খাবার পরিবেশনের দায়িত্বরত ম্যানেজার ফরহাদ জানান, পাঁচ বছর ধরে এখানে গরুর মাংস রান্না করা হয় না। রমজান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সাহ্রিতে গরুর মাংস রান্না করা হয়েছিল। কিন্তু খাবার পরিবেশন করার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল শিক্ষকদের নির্দেশে মাংস সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা কমিটির সদস্য চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া এটি। এখানে সব ধর্মের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা খাওয়াদাওয়া করেন। আর কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় গরুর মাংস পরিবেশন না করাটা নতুন কোনো রেওয়াজ নয়।’