কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নটর ডেম কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থীরা। শনিবার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ১৫ মিনিট বিলম্ব করে পরীক্ষা শুরু করেছে। পরীক্ষার্থীদের অনেক আপত্তির পর মাত্র ৫ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নটর ডেম কলেজ কেন্দ্রের একাধিক পরীক্ষার্থী টেলিফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ অভিযোগ জানিয়েছেন। কেন্দ্রটির ৩০৪ নম্বর কক্ষের একজন পরীক্ষার্থী বলেন, ১৫ মিনিটর দেরিতে খাতা ও প্রশ্ন নিয়ে আসেন দায়িত্বরত শিক্ষকরা। আমরা আপত্তি জানালে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেন এবং পরীক্ষা শেষ হয় ১২ টা ৩৫ মিনিটে। সকাল এগারোটায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিলো। কঠিন প্রতিযোগীতামূলক এ পরীক্ষায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি সেকেন্ড যেখানে মূল্যবান সেখানে দশ মিনিট তো অনেক সময়।
এদিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপর মুঠোফোনে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও’র সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায় নি। কলেজটির টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে, অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি জানান, এ বিষয়ে তিনি জানেন না। তিনি মাত্র এসেছেন। তবে পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অধ্যক্ষকে টেলিফোনে পাওয়া যায় । তিনি দাবি করেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরের সঙ্গে কথা হলে, এ বিষয়ে তিনি অবগত না।
অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, অনেক সময় জনবলের অভাব কিংবা শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে এমনটি ঘটে থাকে। যদি পাঁচ মিনিট দেরি করে শুরু করে থাকে ; পরবর্তীতে সেটি দিয়ে থাকলে খুব একটা অসুবিধা নেই। তারপরেও বিষয়টি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানীর কয়েকটি কেন্দ্রসহ আট বিভাগীয় কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হলো ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এর আগে বেলা ১১টা থেকে এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। চলতি শিক্ষাবর্ষে ২ হাজার ৯ শত ৩৪টি আসনের বিপরীতে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৫ জন পড়ে, সেই হিসেবে প্রতি আসনে লড়েছেন ৪২ জন ভর্তিচ্ছু।