নতুন ক্যাম্পাসের প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় জবি প্রশাসন

দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্ররা অমানবিক জীবনযাপন করছে। ছেলেদের জন্য আগে হল করা জরুরি। নতুন ক্যাম্পাসে ছেলেদের জন্য আগে হল করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আমাদের কতোটুকু হয়েছে, কী কারণে বাকি আছে তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। 

গতকাল রোববার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের ঘাট নির্মাণ, পরিকল্পনা ও প্রকৌশল ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এসব কথা বলেন।

এ সময় উপাচার্য নতুন ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়ে বলেন, আমরা চাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেরানীগঞ্জে সরকার যে জমি দিয়েছে সেখানে দৃষ্টি দিবেন। যেসকল প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বসে তা নিরসনের চেষ্টা করবেন। নতুন ক্যাম্পাস দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এটা প্রয়োজন। 

উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। তিনি বিশাল মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে আমাদের এতো বড় জায়গা দিয়েছেন। তিনি একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চায়। আমরা সকলে সহযোগী হিসেবে কাজ করবো।

নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের কাজে বেশ জটিলতা রয়েছে। যেসব কনসালটেন্ট আছে যাদেরকে বারবার চিঠি দিয়েও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানে শিক্ষকদের তেমন কোনো অংশগ্রহণ নেই। শিক্ষকদের অংশগ্রহণ এখানে জরুরি। আমাদের না হয়েছে একাডেমিক মাস্টারপ্লান, না হয়েছে ডিজাইন। বিল্ডিং ও হলগুলো দক্ষিণমুখী করতে হবে। যেখানে প্রাকৃতিক বাতাসের অবাধ চলাচল থাকবে। এতে করে জ্বালানি খরচ কমে যাবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, কয়েক বছর পেরিয়ে গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পেয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণই সম্পন্ন হয়নি। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্ন করতে সকলের সম্মিলিত চেষ্টা প্রয়োজন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সরকারি চাকরি থেকে ২০ শিক্ষককে অব্যাহতি - dainik shiksha সরকারি চাকরি থেকে ২০ শিক্ষককে অব্যাহতি ইউজিসি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে বহাল থাকছেন অধ্যাপক আলমগীর - dainik shiksha ইউজিসি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে বহাল থাকছেন অধ্যাপক আলমগীর চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন - dainik shiksha চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত ১২ চবি শিক্ষার্থী - dainik shiksha ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত ১২ চবি শিক্ষার্থী ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠন হচ্ছে - dainik shiksha ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠন হচ্ছে শীট মেশিন সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের জন্য পুনরায় দরপত্র দাবি - dainik shiksha শীট মেশিন সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের জন্য পুনরায় দরপত্র দাবি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051438808441162