শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই উপস্থিত হয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী সারি বেধেঁ দাড়ান নতুন ক্লাসের বই পাবার অপেক্ষায়। বছরের প্রথম দিনই নতুন বই হাতে পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। শিক্ষার্থীদের এই আনন্দে অভিভাবকদের মুখেও ফুটে ওঠে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বরিশাল নগরীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এসময় জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ইতোমধ্যে আমরা ৮৭ শতাংশ বই দিয়েছি। এখনও ১৫ শতাংশ বই সংকট রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সঠিক সময়ে গাড়ি এসে পৌঁছায়নি।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় ৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৬৫ জন, পিরোজপুর জেলায় ১ লাখ ৪২ হাজার ২৩০ জন, ঝালকাঠি জেলায় ৭৪ হাজার ১০১ জন, বরগুনা জেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৫ জন, পটুয়াখালী জেলায় ২ লাখ ২৫ হাজার ১০৭ জন ও ভোলা জেলায় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এসব ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরিশাল বিভাগে মোট বইয়ের সম্ভাব্য চাহিদা দেয়া হয়েছে ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩১ কপি। এছাড়া ৮ হাজার ৮২৩ টি ইংরেজি ভার্সনের বইয়ের চাহিদা রয়েছে। সবমিলিয়ে বরিশাল ও ভোলা জেলায় সবথেকে বেশি বইয়ের চাহিদা রয়েছে আর সবথেকে কম রয়েছে ঝালকাঠি জেলায়।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বরিশাল আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরের ২ হাজার ৭৫১টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা হবে। এই হিসেবে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ৬ লাখ ৪০ হাজার ৫৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫০ জন, পিরোজপুর জেলায় ৭৪ হাজার ৭৮৪ জন, ঝালকাঠি জেলায় ৫১ হাজার ১০ জন, বরগুনা জেলায় ৬৮ হাজার ৯৯১ জন, পটুয়াখালী জেলায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮৪৫ ও ভোলা জেলায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৭০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এসব ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোট বইয়ের সম্ভাব্য চাহিদা দেয়া হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৩টি। এছাড়া দাখিল, এবতেদায়ী, এসএসসি ভোকেশনাল, দাখিল ভোকেশনাল ও কারিগরি বিভাগের আরও ৬৮ লাখ কপি বইয়ের চাহিদা রয়েছে।