নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নিয়ে ধারাবাহিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমানের উদ্যোগে জেলার সব শিক্ষককে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ কর্মশালা আয়োজন শুরু হয়েছে
গতকাল রোববার রাতে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ৩০০ জন শিক্ষককে নিয়ে এ কর্মশালার সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ১০ বিষয়ের ওপর পর্যায়ক্রমে কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিভি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও জাতীয় শিক্ষাক্রম কমিটির সদস্য অধ্যাপক তারিক আহসান।
জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর সভাপতিত্বে ও সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মো নাজমুল হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মশালার এ কর্মশালায় অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান ও অধ্যাপক তারিক আহসান নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। নতুন কারিকুলামে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী আগামীতে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে বলে শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং নতুন এই কারিকুলাম বাস্তবায়নে সব প্রতিবন্ধকতা ও সেগুলো দূর করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসাবে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন চোরাপাড়া ফাজিল মাদরাসার সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও জেলা অ্যাম্বাসেডর মো. শরিফুল ইসলাম ও নওগাঁ কে ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আবু তাহের। আলোচনার আলোচকরা একজন শিক্ষক কিভাবে তার শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন তার সার্বিক দিক বুঝিয়ে দেন। শেষে অনলাইনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের মধ্যে যারা বুঝতে পারেননি তাদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগামী ৭ জুন থেকে নতুন কারিকুলামে অধ্যয়নরত ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষকদের তেমন কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। এই মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে একটি ধোঁয়াশা রয়েছে। আমার জেলার শিক্ষকদের মূল্যায়ন নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করতে অনলাইন এ কার্মশালার আয়োজন করেছি
। প্রথমে সামাজিক বিজ্ঞান, বাংলা ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে তিনদিন অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার চিঠি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১০ টি বিষয়ের ওপরই অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মশালার মাধ্যমে জেলার শিক্ষকরা অনেক উপকৃত হবে বলে আমি আশা করছি।