দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঝালকাঠি: নদীর পানি বৃদ্ধি এবং দ্রুত গতির এলপি গ্যাসের জাহাজ চলাচলের ফলে ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় সুগন্ধা নদী গর্ভে বিলীন হতে চলছে ঝালকাঠি পৌরসভার শেষ অংশের চর কুতুবনগর তৈয়্যেবিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং, জামে মসজিদ, খেয়াঘাট, বাজারসহ ৬টি বসতবাড়ি।
বুধবার সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে ঝালকাঠি পৌরসভার শেষ অংশের চর কুতুবনগর এলাকার।
স্থানীয়দের আশঙ্কা নদী শাসন না হলে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে।
উপজেলার সুগন্ধা নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে ঝালকাঠি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরকুতুব নগরের নদী রক্ষা বাধসহ অধিকাংশ এলাকা নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। নদী ভাঙনের ফলে গ্রামের মানচিত্র ক্রমেই ছোট হচ্ছে।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর এস এম আল আমিন জানান, সুগন্ধা নদীর ভাঙনে তার ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী চর কুতুবনগর তৈয়্যেবিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং, জামে মসজিদ, মাদরাসা হুমকির মুখে রয়েছে।
চর কুতুবনগর তৈয়্যেবিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং মুহতামিম মো. হাবিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে নদী ভাঙনে হাফেজি মাদরাসা, মসজিদ, এতিমখানা, খেয়াঘাট, বাজারসহ ৬টি বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই এতিম খানা ও লিল্লাহ বোডিং এ ১৫০ জন ছাত্র কোরআন শিক্ষা নিচ্ছেন, আর ২-৩ হাত ভেঙে গেলেই আমাদের মাদরাসা নদীতে পরে যাবে।
প্রতিষ্ঠাতা মৃত তৈয়বুর রহমান ছেলে মাদরাসার পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে আমার বাবা ১০০ শতাংশ জমিতে এই চর কুতুবনগর তৈয়্যেবিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে এখন ১৫০ জন ছাত্র ও ৩ জন শিক্ষক আছেন। বর্তমানে যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি আছে তাতে যেকোনো মুহূর্তে এটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই এমপি মহোদয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয় ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ. কে. এম. নিলয় পাশা বলেন, খবর পেয়েছি, বেরিবাধের যতোটুকু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা হাতে কোনো সুযোগ এলে মেরামতের চেষ্টা করবো।