টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কুরমুশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের ঘরটি চলতি বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ঝূঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের কিছু অংশ চলে গেছে নদীগর্ভে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকির মধ্যেই লেখাপড়া করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের খরস্রোতা ঝিনাই নদীর পাশেই কুরমুশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২৯ জন। কয়েক দিনের টানা অতি বৃষ্টির কারণে নদীভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের পিছনের কিছু অংশ ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে। ঝুঁকির মধ্যেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহসীনা রসনী জানান, বিদ্যালয়ের ভবন রক্ষায় বাঁশ দিয়ে ধারক দেওয়াল নির্মান করা হয়েছিলো কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ইতিমধ্যে ঘরের পিছনের কিছু অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। ফলে একটি শ্রেণি কক্ষের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ঘরটি থাকবে কি না সে নিয়েই আমরা এখন চিন্তিত।
এবারের বর্ষায় বিদ্যালয়টি ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে দাবী করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা খাতুন জানান, বিদ্যালয়টি স্থানান্তরে জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করতে না পারলে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান ব্যহত হবে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি আমি পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা জরুরি । উদ্বর্তন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আখতার জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি, বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।