আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। সূর্যের হাসির আলোকছটা যখন সকালের সোনা রোদ হয়ে বটের পাতার ফাঁক দিয়ে ঝিলিক দিতে শুরু করেছে তখন যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০ বরণ করে নেওয়ার আয়োজন। সদ্যগত বছরের জরা ক্লান্তি আর অশনি কাটিয়ে ছায়ানটের শিল্পী দল গেয়ে ওঠেন ‘ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর’। এবার পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের এ প্রভাতি আয়োজনে নব আলোর সন্ধানের আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলেও অনুষ্ঠানটি দেখা যাচ্ছে।
এদিন কাকা ডাকা ভোর থেকেই বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে রমনা বটমূল ছুটে আসেন নারী, পুরুষ ও শিশুরা। তাদের পরনে ছিল রঙিন পোশাক। অন্যদিকে, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনা পার্ক, বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া বর্ষবরণে থাকছে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর নববর্ষে পান্তা-ইলিশসহ নানা রকম দেশি খাবার খাওয়ার রেওয়াজ থাকলেও এবার পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় দিনের বেলায় এ আয়োজন থাকছে না।
১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত বাংলা নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা যুগিয়েছে।