‘বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড’ পরিচালিত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রকার শিক্ষার পরিবেশ তৈরি না করে প্রতিষ্ঠানটি একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
এ পরিস্থিতিতে কলেজটিকে অন্যান্য টেক্সটাইল কলেজের মতো বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতায় নেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিষ্ঠার ছয় বছর হলেও অত্র প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রকার আবাসন ব্যবস্থা, কোনো প্রকার ল্যাব সুবিধা এবং শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। নাম মাত্র ভূমিকায় একটি গবেষণামূলক বিএসসি কোর্স চালানো হচ্ছে। অথচ অযৌক্তিকভাবে ক্রেডিট আওয়ার ফি এর নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হচ্ছে শুরু থেকেই।
শিক্ষার ন্যূনতম পরিবেশ প্রদানে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড পুরোপুরি ব্যর্থ এবং একদল অদক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলী তৈরি করছে। যারা পর্যাপ্ত একাডেমি এবং ব্যবহারিক শিক্ষার অভাবে ভবিষ্যতে বস্ত্র খাতে যতেষ্ট ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে না, যোগ করেন তারা।
তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং বর্তামান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবকে অনুরোধ জানাচ্ছি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনতিবিলম্বে বুটেক্স অধিভুক্ত বাকি ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মতো নরসিংদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন করা হোক। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তারা আরো বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাঁত বোর্ডে অবস্থান এবং ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবো।