নানা সংকটে ঝালকাঠির মোস্তফাবাদ কাসেমিয়া দাখিল মাদরাসা

কামরুজ্জামান সুইট, ঝালকাঠি |

প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক স্বল্পতা নিয়ে চলছে ঝালকাঠির মোস্তফাবাদ কাসেমিয়া দাখিল মাদরাসার পাঠদান কার্যক্রম। প্রায় অর্ধ শতবর্ষী পুরনো এ মাদরাসাটিতে ১৬ পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ১১ জন। কর্মচারী চারজনের স্থলে আছেন দুজন।

শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫৩ জন তার মধ্যে ছাত্র ১৮৯ জন ও ছাত্রী ৬৪ জন। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি প্রায় ১৫০। ঝালকাঠি সদর উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মোস্তফাবাদ কাসেমিয়া দাখিল মাদরাসা। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে ঝালকাঠির ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের খুলনা-বরিশাল মহাসড়কের পাশেই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে এর লেখাপড়ার মান ও পরীক্ষার ফলাফল ছিলো প্রশংসনীয়।

মোস্তফাবাদ কাসেমিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার কে. এম. আব্দুল্লাহ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, একাডেমিক ভবনের সংকট, শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে মাদরাসায়। ইংরেজি, ভৌত বিজ্ঞান,  সহকারী মৌলভী, শারীরিক শিক্ষা ও জুনিয়র শিক্ষকের সংকটে শিক্ষার গুনগত মান রক্ষা করা খুবই কঠিন হয়ো পরেছে। মাদরাসার সীমানা প্রাচীর না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, টিনশেড যে ভবনটি আছে সেটা খুবই জরাজীর্ণ ও মেঝে পাকা না থাকায় ভারী বৃষ্টি হলেই স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায় শ্রেণিকক্ষ। বৃষ্টির পানি পড়ে, যার ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লাস করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এখানকার শিক্ষার্থীরা। সংস্কারের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। আমাদের সব শিক্ষকেরা বেতনের টাকার একটা অংশ দিয়ে শ্রেণিকক্ষের নতুন টিন লাগিয়েছি তাও পুরাতন হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক কম থাকার বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি এবং কয়েকবার চাহিদা দিয়েছি তারপরও শিক্ষক পাচ্ছি না।

শিক্ষার্থী কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসা সুপার বলেন, আমার মাদরাসার আশেপাশে কয়েকটি দাখিল মাদরাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যার কারণে আমাদের মাদরাসায় শিক্ষার্থী কম।

ছত্রকান্দা এলাকার বাসিন্দা মামুন হাওলাদার জানান, আমার এক আত্মীয় পড়াশোনা করেন এই মাদরাসায়। শুরু থেকেই মাদরাসাটির সুনাম রয়েছে কিন্তু কয়েক বছর ধরে একডেমিক ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ সেই সঙ্গে শিক্ষক কম। এ অবস্থা থাকলে তো শিক্ষার মান খারাপ হবে।

মাদরাসার সভাপতি মো. নূর হোসেন আকন বলেন, আমাদের মাদরাসার ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ, জরুরিভিত্তিতে একাডেমিক ভবন দরকার।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন অর রশীদ বলেন, মোস্তফাবাদ কাসেমিয়া দাখিল মাদরাসাটিতে শিক্ষক ও একাডেমিক ভবন সংকট দূর করা দরকার।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003079891204834