নামের মিলে জেল খাটছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ন!

নলছিটি প্রতিনিধি |

নামের সঙ্গে আংশিক মিল থাকায় ডাকাতি মামলার দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির পরিবের্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ন ফিরোজ আলম হাওলাদার জেল খাটছেন বলে তার পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে। তার মুক্তির দাবিতে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম।

সুরাইয়া বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার স্বামী মো. ফিরোজ আলম হাওলাদার ঢাকার আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ন হিসেবে নিয়মিত চাকরি করে আসছেন। কিন্তু গত ৬ মার্চ ১১টার দিকে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে নলছিটি থানায় হস্তান্তর করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, পরে জানতে পারি যে তাকে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার এক ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে আটক করা হয়েছে। আমি ও আমার স্বজনরা ফরিদপুরে গিয়ে এই মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে জানতে পারি উক্ত মামলার ৫ নং আসামি হিসেবে জুয়েল, পিতা: অজ্ঞাত উল্লেখ আছে। 

ইতিপূর্বে উক্ত মামলার ৫ নং আসামি জুয়েল ওরফে ফিরোজাল ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অন্য আরেকটি মামলায় ১২ জুন ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে গ্রেফতার হওয়ার পর ২৮ মার্চ ২০০৪ পর্যন্ত ফরিদপুর কারাগারে আটক ছিলেন। সেখানে আসামির নাম ফিরোজাল ও পিতার নাম মনু মিয়া, সাং-বৈশাখিয়া, থানা: নলছিটি, জেলা: ঝালকাঠি উল্লেখ আছে।  

আমার স্বামী যদি ডাকাতি মামলার আসামি হতেন এবং ডাকাতি মামলায় কারাগারে থাকতেন তাহলে তার চাকরি থাকার কথা না। আমার স্বামী সাবলীলভাবে নিজের বাড়িতেও অবস্থান করতেন না এবং তিনি যে নিয়মিত তার কর্মস্থলে হাজিরা দিয়েছেন সেটার তথ্য ও প্রমানাদি আমাদের কাছে আছে। 

উল্লেখ্য, বরিশাল র‌্যাব-৮ এর মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে গত ৮ মার্চ দুপুরে নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের বৈশাখিয়া বাজার থেকে ফিরোজ আলম হাওলাদারকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে নলছিটি থানা মারফত জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে মোল্লারহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. মোতালেব হোসেন বলেন, তার গ্রেফতারের ব্যাপারে আদালত থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিলো যে, গ্রেফতারি পরোয়ানায় লেখা ব্যক্তির তথ্য সঠিক আছে কি না। আমরা তদন্ত করে দেখেছি গ্রেফতারি পরোয়ানায় উল্লেখিত তথ্য সঠিক আছে। এখন যদি অন্য কোথাও ভুল থাকে সেটা থাকতে পারে সেটা আমাদের জানা নেই।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সরকার পরিচালনায় ভুলত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিন, সম্পাদকদের ড. ইউনূস - dainik shiksha সরকার পরিচালনায় ভুলত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিন, সম্পাদকদের ড. ইউনূস এইচএসসি ফল তৈরি: পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়েছে বোর্ড - dainik shiksha এইচএসসি ফল তৈরি: পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়েছে বোর্ড শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য ও হেনস্তা নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য ও হেনস্তা নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের আগস্ট মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের আগস্ট মাসের এমপিওর চেক ছাড় এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডিজি হলেন - dainik shiksha এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডিজি হলেন ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি উত্তপ্ত - dainik shiksha ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি উত্তপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাত ভাঙলেন বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাত ভাঙলেন বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক নিপীড়নের আইনগুলো এখনই বাদ দেয়ার প্রস্তাব - dainik shiksha সাংবাদিক নিপীড়নের আইনগুলো এখনই বাদ দেয়ার প্রস্তাব মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দিতে আবেদন আহ্বান - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দিতে আবেদন আহ্বান শিরীন শারমিনের পদত্যাগে স্পিকার পদে কি শূন্যতা তৈরি হলো - dainik shiksha শিরীন শারমিনের পদত্যাগে স্পিকার পদে কি শূন্যতা তৈরি হলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026760101318359