শিক্ষকতার মেজাজ নেই, কেবল জীবিকা নির্বাহের খাতিরে শিক্ষকতায় এসেছে, তাদেরকে এই পেশা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। একইসঙ্গে নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার জন্য নিবেদিত প্রাণ, মেধাবী ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত এমন লোকদেরকেই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কওমি ফোরামের আয়োজনে ‘শিক্ষাঙ্গনে অনৈতিকতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব দাবি জানান।
কওমি ফোরামের সমন্বয়ক মাওলানা মামুনুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে লিখিত বক্তব্য ও সরকার বরাবর ৭ দফা দাবি পেশ করেন ফোরামের সমন্বয়ক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি।
কওমি ফোরামের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে, ছাত্র-শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান বিষয়ক সমস্যা সরাসরি সরকার প্রধানকে অবহিত করা যায় এমন কোনো পথ খুলতে হবে। প্রয়োজনে এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কোনো সেল গঠন করা যেতে পারে।
শহর কেন্দ্রিক গণপরিবহনগুলো দুই দরজা বিশিষ্ট হতে হবে। সামনের দরজা দিয়ে কেবল নারীরা প্রবেশ ও বের হবেন। পেছনের দরজা বরাদ্দ থাকবে পুরুষদের জন্য। প্রয়োজনে গণপরিবহনের মধ্যখানে পার্টিশনের ব্যবস্থা করে নেয়া যেতে পারে। যাতে নারীদের চলাফেরা নির্বিঘ্ন ও নিষ্কণ্টক হয়। মহান আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধান পর্দার প্রতি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে হবে। ধর্ম ও নৈতিকতার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে শিক্ষার সব স্তরে। যৌন উত্তেজনা ও উম্মাদনা সৃষ্টিকারী সমস্ত আয়োজন যথা অশ্লীল নাটক, সিনেমা, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট ইত্যাদি বন্ধ করে দিতে হবে।
মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান ও মুফতি এনায়েতুল্লাহর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শায়েখ হাসান জামিল, মুফতি মর্তুজা হাসান ফয়েজী মাসুম, মুফতি দীন মোহাম্মদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা গোলাম মোস্তফা, মাওলানা আতাউর রহমান ফয়েজী, মুফতি আবুল কালাম তৈয়বী, মুফতি রিজওয়ান রফিকী, মুফতি আখতার হুসাইন হাফেজ্জী, মাওলানা আবুল বাশার রিজওয়ান, মাওলানা ক্বারী নাসির উদ্দিন, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ নোমানী, মাওলানা আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মুফতি তোফায়েল গাজ্জালী, মাওলানা আল আমিন আজাদ, মাওলানা শামসুল হক ঢাকুবী, মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ।