নারী কেলেঙ্কারি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ ২১ অভিযোগে অভিযুক্ত বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারি সৈয়দ বজলুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুলকে সাময়িক বরখাস্তের বহাল রেখেছে আদালত। বুধবার (৮ জানুয়ারি) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর কলেজের গভর্নিং বডি নারী কেলেঙ্কারি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ ২১ অভিযোগে অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল।
সূত্র জানায়, বাইশারি সৈয়দ বজলুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুল তাকে বরখাস্ত করে জারি করা আদেশ অবৈধ দাবি করে বানারীপাড়া সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মুকুল কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিসহ মোট ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। অধ্যক্ষ মুকুলের দেয়া এই মামলার বিপক্ষে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেন। সকল প্রমাণ ও কাগজ পত্র বিবেচনা করে বানারীপাড়া সহকারী জজ আদালতের বিচারক মামলাটির গ্রহণে যোগ্যতা না থাকায় দোতরফা শুনানিতে খারিজ করে দেন। এর ফলে গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর কলেজ গভর্নিং বডি কর্তৃক করা সাময়িক বরখাস্ত বহাল রাখে আদালত। গত ২ জানুয়ারি এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হবার পরেও অধ্যক্ষ মুকুল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওবায়দুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের ওপর জোড় খাটিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। এতে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এছাড়া অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুলকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুল এর সাথে অন্য একটি কলেজের নারী লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর নারী লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলামের অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়। সেই সঙ্গে আপত্তিকর ওসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। এতে কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করে গভর্নি বডি।